মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

মামুনুল হকের মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ধর্ষণ মামলায় সপ্তম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জেলা কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় তাকে। দুজন পুুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামুনুল হককে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে মামুনুল হককে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন  বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে ছয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা রয়েছে। আজ দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। তারা হলেন- এসআই কোবায়েদ ও এসআই বোরহান দর্জি। মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা একটা মিথ্যা মামলা। সাক্ষীদের কথা ও জেরার মধ্য দিয়ে অনেক অসামঞ্জস্যতা বের হয়ে আসছে। সব সাক্ষীকে জেরা করতে পারলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর