শিরোনাম
শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

পোকার আক্রমণে দিশাহারা কৃষক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

পোকার আক্রমণে দিশাহারা কৃষক

লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আমন খেতে কারেন্ট পোকার উপদ্রব বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়াজনিত (বিএলবি) পাতা মোড়া রোগে মরে যাচ্ছে ধান। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪০-৫০ একর জমি। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। পোকার আক্রমণ ও পাতা মরা রোগ দমনে কৃষক পাচ্ছে না স্থানীয় কৃষি বিভাগকে। জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউপির শিয়াল খোওয়া গ্রামের কয়েকটি খেত ঘুরে আক্রান্ত আবাদি জমি চোখে পড়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে জমির ধান পেকে সোনালি রং ধারণ করেছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিএলবির আক্রমণে ধান গাছের পাতায় ফ্যাকাশে হলদে রং ধারণ করেছে। পাশাপাশি কারেন্ট পোকা ধানের গোড়ার রস চুষে খেয়ে ফেলায় গাছ মরে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিয়াল খোওয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক ইদ্রিস আলীর দুই কাঠা জমির ধান মরে গেছে। ১০ হাজার টাকা খরচ করে ১১ কাঠা জমিতে রঞ্জিত জাতের আমন আবাদ করেছিলেন কৃষক দুলাল। আবাদি জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

স্থানীয়দের পরামর্শে জমিতে কীটনাশক দিয়েছেন। তার পরও ঘরে ধান তুলতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আরেক কৃষক আজহার আলী নিজের আবাদ করা দুই বিঘা জমিসহ ইউনিয়নের প্রায় ২৫-৩০ একর জমিতে কীটনাশক দিয়েছেন। এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন গ্রামের অন্যান্য কৃষকও। কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবকিছুরই দাম বৃদ্ধি। তারপরও আমন চাষ করেছি, দুমুঠো খাওয়ার আশায়। কিন্তু সে আশাতে গুড়েবালি, কারেন্ট পোকার আক্রমণে আমন ধান ঘরে আসবে কিনা সন্দেহ। এমন সময় কৃষি বিভাগের কোনো মাঠকর্মীকেই কাছে পাচ্ছেন না কৃষকরা। তাই তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। শুধু শিয়াল খোওয়া গ্রামই নয়, কারেন্ট পোকা ও বিএলবির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে জেলার বড়বাড়ি, কুলাঘাট, খুনিয়াগাছ, সাপ্টিবাড়ি, কমলাবাড়ি, চলবলা, চন্দ্রপুর,  ভোটমারি, গোতামারি, নওদাবাস, বড়খাতা, বুড়িমারী, জোংড়া ইউনিয়নের অন্তত ৩৭টি গ্রামে। পোকা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান।

 

সর্বশেষ খবর