সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কুকুর আতঙ্কে মানিকগঞ্জবাসী

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

কুকুর আতঙ্কে মানিকগঞ্জবাসী

মানিকগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে কুকুরের সংখ্যা। প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে আসছেন লোকজন। সরেজমিন দেখা যায়, কুকুর-বিড়ালের মাধ্যমে আক্রান্তরা ভ্যাকসিন নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন। সদর উপজেলার মুলজান গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, ভ্যাকসিন নিতে হাসপাতালে এসেছি। সিরিঞ্জ কিনে ভ্যাকসিন নিতে হলো। বনপাড়িল এলাকার রিজিয়া আক্তার বলেন, আমার ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ পেছন থেকে ভাইয়ের পায়ে কামড় বসায় কুকুর। অপসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে আমাকে কুকুর কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে এখান থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখান থেকে মহাখালিতে পাঠায়। প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হই। তিনি আরও বলেন, যেভাবে কুকুরের বংশবৃদ্ধি পাচ্ছে, দ্রুত প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ অবস্থা হবে। রাস্তায় বের হলেই দেখি পাঁচ-সাতটি বাচ্চা নিয়ে মা কুকুর ঘুরে বেড়ায়। পথচারীরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন। প্রতিদিন এক থেকে দেড় শ লোক কুকুর বিড়াল দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন- যা আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সচেতন মহল মনে করেন, কুকুর নিধন না করে দ্রুত এর বংশবৃদ্ধি প্রতিহত করা উচিত। সেই সঙ্গে সব কুকুরকে ভ্যাকসিন দিতেও তারা পরামর্শ দেন। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, ইদানীং কুকুর-বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ভ্যাকসিন নিতে আসা রোগী বেড়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিনের সংকট নেই।

 তবে এ কাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ আমাদের কাছে নেই। বাধ্য হয়েই আক্রান্তদের সিরিঞ্জ কিনতে হচ্ছে। পৌর মেয়র রমজান আলী বলেন, আগে প্রতি বছর কুকুর নিধন করা হতো। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন নিধন বন্ধ রয়েছে। যেহারে কুকুর বাড়ছে, নিয়ন্ত্র না করলে ভয়াবহ রূপ নেবে। কুকুরের বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর