বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

তিস্তার চরে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু-পাথর তোলা

নীলফামারী প্রতিনিধি

তিস্তার চরে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু-পাথর তোলা

তিস্তার চরে বন্ধ হচ্ছে না বালু-পাথর তোলা। চর এলাকায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বালু তোলা হচ্ছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর চরগুলো এখন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের দখলে। নদীর বুক থেকে  অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার বালু -পাথর তুলছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। এই অবৈধভাবে বালু তুলতে থাকায় নদী ও প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভাঙনের মুখে পড়ছে নদীর তীরবর্তী গ্রাম, হাজার হাজার ফসলি জমি, জনবসতি এবং তিস্তা ব্যারেজ। বালু ও পাথর বাণিজ্যের ফলে সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।  তিস্তা নদী এলাকার  আশপাশের আনন্দ বাজার, চড়খড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন বালু তোলা হয়ে থাকে।  বিভিন্নভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে এ অবৈধ ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে বোমা মেশিন বসিয়ে, শুকনো চর থেকে কোদাল ও বেলচা দিয়ে বালু তুলছে। এছাড়াও নদীর তলদেশ খুঁড়ে দেদারচ্ছে পাথর তুলছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে মৎস্য প্রকল্প ও বসতভিটা উঁচু করনের নামে চলছে বোমা মেশিন দিয়ে খালখননের কাজ। সেখান  থেকে মাটি ও বালু তুলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন বালুর ট্রলি চলাচলের কারণে এলাকার রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু-পাথর তোলার  দুটি খননযন্ত্র জব্দ করা হয়। এতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বালু-পাথর তোলা এবং বিক্রির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এ জন্য তাদের কেউ কিছু বলে না। নদীর চর থেকে প্রতি ট্রলি বালু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা করে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের  নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদদৌলা বললেন, চরখড়িবাড়ি এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এতে তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাছ থেকে বালু তোলা বন্ধ করা না হলে বর্ষার সময় বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর