রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

শেরপুরে দীর্ঘ হচ্ছে ওএমএসের লাইন

শেরপুর প্রতিনিধি

কাক ডাকা ভোর থেকে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) সেন্টারের সামনে লাইন ধরে অপেক্ষা করে চাল-আটার জন্য অসংখ্য মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন দীর্ঘ হয়। এই দীর্ঘ লাইনে রোদের তীব্রতার মধ্যেও মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। গরিবদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের একটা অংশ মুখ ঢেকে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা নিতে দেখা গেছে। ওএমএস নিতে আসা লোকজন জানিয়েছে প্রতিটি সেন্টার থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চাল-আটা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। ওএমএস ডিলার সূত্র জানিয়েছে সরকার প্রতিদিন ২০০ জনকে বরাদ্ধ দিলেও লাইনে মানুষ থাকে চার গুণেরও বেশি। প্রতিদিনই ওএমএস নিতে আসাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।  জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের বরাত দিয়ে জানা গেছে সদর উপজেলায় পাঁচটি, নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদীর প্রতিটিতে তিনটি, ঝিনাইগাতিতে দুইটিসহ মোট ১৬টি ওএমএস সেন্টার আছে। এসব সেন্টারের প্রতিটিতে ২০০ জন করে মোট ৩ হাজার ৬০০ জন মানুষ ১৫০ টাকায় পাঁচ কেজি চাল ও ৯৫ টাকায় পাঁচ কেজি আটা কিনতে পারে। জেলা সদর ছাড়া আর কোথায়ও আটা দেওয়া হয় না। ওএমএস নিতে আসা লোকজন জানিয়েছে এর আওতা ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো উচিত। ওএমএস চাহিদা এখন তুঙ্গে উল্লেখ করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আল ওয়াজিউর রহমান বলেছেন সম্প্রতি মধ্যবিত্তরাও লাইনে দাঁড়াচ্ছে।

তবে কিছু মানুষ প্রতিদিনই ওএমএস নিতে লাইনে দাঁড়ায়। ওএমএস নিতে আসাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাটাবেস তৈরি শেষ হলে প্রতিদিন কমন মানুষ  ওএমএস নিতে পারবে না। জেলায় ৭০ হাজার মানুষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা দরে প্রতিজন ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। ফলে অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে। আর আমন উঠলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

সর্বশেষ খবর