শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সৈয়দপুর ডাকঘরে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

সৈয়দপুর প্রতিনিধি

সৈয়দপুর ডাকঘরে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

নীলফামারীর সৈয়দপুর ডাকঘর অনেক ব্যস্ততম। অথচ ডাকঘরটি চলছে মাত্র সাতজন জনবল নিয়ে। ফলে জনবল সংকটে ধুঁকছে ডাকঘরটি। এতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এ যাবতীয় সেবা কার্যক্রম। প্রতিদিন সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তবে স্থানীয় ডাকঘর কর্তৃপক্ষ বলছেন, অতিরিক্ত সেবাগ্রহীতার কারণে সামান্য জনবল দিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। জানা যায়, সৈয়দপুর বাণিজ্য ও শিল্প প্রধান শহর হওয়ায় এ ডাকঘরে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ চিঠি, ডাক টিকিট, মানি অর্ডার, জিইপি, ইএমও ও সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সেবা নিতে আসেন। আবার অনেকে আসেন ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে হিসাব খুলতে এবং সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে। অথচ প্রায় ৪ বছর যাবত ডাকঘরে সেবা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় জনবল নেই। জনবলের মোট ২৩টি পদের মধ্যে ১৬টি পদই কোনো লোক নেই। বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৭ জন। এর মধ্যে সেবা কাজে জড়িত ২১ জনের বিপরীতে জনবল আছে মাত্র ৫ জন। ডাকঘরে মঞ্জুরী পোস্টাল অপারেটরের ১২টি পদের বিপরীতে কর্মরত ২ জন, পোস্টম্যানের ৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৩ জন। ফলে মানি অর্ডার ও চিঠিপত্র বিলি করা যথাযথ নিয়মে সম্পন্ন হচ্ছে না। পোস্টম্যানরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর পোস্টাল অপারেটর পদে কর্মরত ২ জনকে ৪টি কাউন্টারে ঘুরে ঘুরে গ্রাহকদের সেবা দিতে হচ্ছে। ফলে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সময় অপচয় ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বছরের পর বছর এ ভোগান্তি চললেও এর সুরাহা করছে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে ডাকঘরে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন কাউন্টারে সেবা নিতে আসা নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে আছেন। দুজন পোস্টাল অপারেটর ঘুরে ঘুরে সাধ্যমত কাজ করছেন। ফলে সেবা পেতে গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ডাকঘরে সেবা নিতে আসা নতুন বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা তসলিমা বেগম জানান, তিনি একটি চিঠি রেজিস্ট্রি করতে এসেছেন। কিন্তু কাউন্টারের অপারেটর অন্য কাউন্টারে ব্যস্ত। সেবা পেতে তাকে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কাউন্টারে লোক থাকলে এমন ভোগান্তি হত না। তিনি ডাকঘরের সেবা নিয়ে ক্ষোভ জানান। জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার খলিলুর রহমান বলেন, চরম জনবল সংকটের মধ্যেও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সমস্যা থাকলেও সাধ্যমত কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। সামান্য জনবলের কারণে কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত কাজ করছেন স্টাফরা। ডাকঘরটি স্বতন্ত্র মর্যাদার হওয়ায় এখানে বহুমুখী সেবা পাওয়া যায়। ফলে গ্রাহকদের চাপ অনেক বেশি। তবে সংকট নিরসনে জনবল পদায়নের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর