শিরোনাম
রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

অব্যবস্থাপনায় ব্যাহত চিকিৎসাসেবা

গোমস্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মো. রফিকুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে ৫০ শয্যার গোমস্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রোগীর সঙ্গে কখনো চিকিৎসকের আবার কখনো নার্সরা দুর্ব্যবহার করেন এমন অভিযোগ নিত্যদিনের। সরকারি ওষুধ থাকার পরও রোগীদের না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ৫০ শয্যার গোমস্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাগজে-কলমে চিকিৎসক রয়েছেন ২১ জন ও পাঁচজন কনসালটেন্ট। এদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)। বাস্তবে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ জন চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। চিকিৎসক সংকটে রোগীদের সেবা নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে চিকিৎসকের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান। সূত্রমতে, কনসালটেন্ট যারা রয়েছেন তারাও প্রতিদিন আসেন না। সপ্তাহে দু-এক দিন এলেও এক থেকে দেড় ঘণ্টা রোগী দেখে চলে যান। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ও একজন ইউনানীসহ ছয়জন চিকিৎসক আছেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ সময় চিকিৎসা নিতে আসা গোমস্তাপুর ইউনিয়নের লালকোপরা গ্রামের বৃদ্ধা চিমতী রানী বলেন, তিনি এসেছেন সকাল ৮টায়। ডাক্তার না থাকায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয়। সময়মতো ডাক্তার না পাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই উপজেলার মকরমপুর গ্রামের কয়েস উদ্দিন সময়মতো চিকিৎসক না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, সরকার ডাক্তারদের লাখ লাখ টাকা বেতন দিচ্ছে। তারা ঠিকমতো হাসপাতালে আসেন না। একই অভিযোগ করেন আরও কয়েকজন রোগী। এছাড়া ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নার্সদের দুর্ব্যবহারের বিষয়ে জানা গেছে রোগীরা বিড়ম্বনায় পড়েন ওষুধ বিপণন প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে। ডাক্তারের রুম থেকে রোগী বের হলেই এক সঙ্গে ৮-১০ জন প্রতিনিধি ওষুধের প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে কাড়াকাড়ি করেন। নিয়ম রয়েছে সপ্তাহে দুদিন ( রোব ও মঙ্গলবার) তারা হাসপাতালে ভিজিট করতে পারবেন বেলা ১২টার পর থেকে। এ নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন হাসপাতালে এসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ওই দিন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সেলিম রেজাকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, অফিসের কাজে রাজশাহী আছেন। গোমস্তাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল হামিদ বলেন, ডাক্তাররা সময়মতো আসেন না। এ বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর