বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামে কয়েকজন কৃষক নিজেদের ৩২ বিঘা জমিতে পিঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে ইতোমধ্যে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাদের একজন মোয়াজ্জেম হোসেন। দেশি পিঁয়াজের ঘাটতি দূর করতেই এমন উদ্যোগ তার। তার পিঁয়াজের বাগানে কাজ করে অনেকের সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা। পিঁয়াজের এ বীজ বিক্রি করে লাভবানের আশায় আছেন কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ কয়েকজন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধ হয়ে মোয়াজ্জেমসহ কয়েকজনের ৩২ বিঘা জমিতে কাজ করছেন ৭০-৮০ জন নারী-পুরুষ শ্রমিক। এদের মধ্যে কেউ খেতের পরিচর্যায় সেচ দিচ্ছেন, কেউ পোকা দমনে কীটনাশক স্প্রে, কেউবা আলতো হাতের ছোঁয়ায় পরাগায়ন করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় পিঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭৯৮ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৮০৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬০ হেক্টর জমির ফসল কর্তন হয়েছে। এ ছড়া ১১৩ হেক্টর জমিতে শুধু পিঁয়াজবীজ উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৯০০ কেজি করে মোট ১০২ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরাগায়নের কাজ করতে আসা খায়রুল আলম ও আবু সায়েম বলেন, ‘মোয়াজ্জেমের পিঁয়াজ খেতে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরাগায়ন করতে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন কাজ করি আমরা। এতে আমাদের ভালো আয় হয় এবং এ আয়ে সংসার ভালোই চলছে।’ তরুণ উদ্যোক্তা কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘পিঁয়াজ রোপণের মাত্র চার মাসের মধ্যে গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায়। আর গাছে ফুল আসার পর থেকে টানা ৩০ দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হাতের ছোঁয়ায় পরাগায়ন করতে হয়।