শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

গোমতীর বুকে একাধিক চর নৌ-চলাচলে বিঘ্ন

দাউদকান্দি প্রতিনিধি

গোমতীর বুকে একাধিক চর নৌ-চলাচলে বিঘ্ন

দাউদকান্দির মোহনায় গোমতীর চরে আবাদ হয়েছে ধান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লা জেলার অন্যতম প্রসিদ্ধ নদী গোমতী। দাউদকান্দি উপজেলায় মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে এ নদী। ফলে এ নদীর মোহনাকে মেঘনা-গোমতীর মোহনা বলা হয়। দেড় যুগ আগেও মেঘনা-গোমতীর দাউদকান্দি নৌঘাটে ভিড়ত শত শত জাহাজ। থাকত শ্রমিকের কোলাহল। এখন মেঘনা-গোমতীতে বড় বড় চর জাগায় দাউদকান্দি ঘাটে আর ভিড়ছে না আগের মতো বড় নৌ- জাহাজ বা কার্গো। নেই শ্রমিকের কোলাহল। গোমতী নদের দাউদকান্দির অংশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ছোট-বড় চর জেগে ওঠা ছাড়াও ডুবো চরের কারণে নৌ-চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পানিশূন্য গোমতী এলাকাবাসীর অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুমে গোমতীতে পানি থাকলেও বছরের অন্য সময় বিভিন্ন অংশ শুকিয়ে থাকায় নদীর বুকে অনেকে ধান আবাদ করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, নদীর দুই পাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ রুক্ষ হয়ে উঠছে। শুকনো মৌসুম পুরোপুরি শুরু না হতেই মাইলের পর মাইল চর দেখা যাচ্ছে। নদী নিয়মিত ড্রেজিং না করায় এ অবস্থা হয়েছে। বলে মনে করছেন অনেকে। গোমতী সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এলেও মূল নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। যৌবন হারিয়েছে গোমতী। হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এর শাখা নদীরও। এ কারণে জেলার এক বৃহদাংশে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। ১৯৯৬ সাল থেকে গোমতী নদীতে চর পড়া শুরু হয়। দিন যত যাচ্ছে চরের সংখ্যাও বেড়েছে। সূত্র জানায়, গোমতীর উভয়দিকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বালুচর। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মেঘনা-গোমতীর মোহনায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চর ও নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনলে আগের মতোই দাউদকান্দি নৌবন্দরে ভিড়বে জাহাজ, স্টিমার, লঞ্চ, কার্গো, মালবাহী বাল্কহেড। তখন কেটে যাবে শ্রমিকদের দুর্দিন।

 

সর্বশেষ খবর