শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অটোরিকশার দাপটে বিভিন্ন সড়কে বাস সার্ভিস বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

অটোরিকশার দাপটে বিভিন্ন সড়কে বাস সার্ভিস বন্ধ

বগুড়ায় বিভিন্ন সড়কে কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বাস সার্ভিস। সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাপটে এসব রুটে বন্ধ হয়েছে বাস। সিএনজির অর্ধেক ভাড়া নিয়েও মালিকরা টিকিয়ে রাখতে পারছেন না বাস সার্ভিস।

জানা যায়, বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলার দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। ইঞ্জিনচালিত যানবাহন শুরু হওয়ার পর থেকেই এ সড়কে বাস চলাচল করছে। শুরুতে বাস ভাড়া ছিল পাঁচ টাকা। সবশেষ ২০০২ সালে সড়কটিতে করতোয়া গেটলক মিনিবাস সার্ভিস শুরু হয়। তখন এ সড়কের বাস ভাড়া ছিল ২০ টাকা। পরবর্তীতে বাস ভাড়া ৩০ এবং ৪০ টাকা হয়। সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর থেকেও মিনিবাস সার্ভিস শুরু হয়। ২০০৫ সালের পর থেকে এ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়। শুরুতে সিএনজি ভাড়া ছিল ২০ টাকা। বিভিন্ন সময়ে এ ভাড়া বেড়ে ৫০ টাকায় ঠেকেছে। রাত যত গভীর হয় সিএনজি ভাড়া তত বাড়তে থাকে। বেড়ে কখনো ৮০ টাকা পর্যন্ত হয়। ৩০ টাকা বাস ভাড়া হলেও এ রোডে এখন আর দেখা মেলে না মিনিবাস সার্ভিসের। যাত্রীরা বলছেন, বাসে বগুড়া যাতায়াত করতে সময় বেশি লাগে। সিএনজিতে ভাড়া বেশি নিলেও সঠিক সময়ে পৌঁছে যায়। একইভাবে বগুড়া থেকে সোনাতলা সড়ক এবং গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বাস বন্ধ হয়ে গেছে। এ সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। মিনিবাস সার্ভিস মালিকরা বলছেন, কম ভাড়া নিয়ে সময়মতো দ্রুতগামী সার্ভিস চালু করেও যাত্রীদের সিএনজি থেকে বাসে আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়নি।

 ক্রমাগত লোকসানে তারা বাস সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়কে বাস চলাচল স্বাধীনতার পরবর্তীকাল থেকে। এর আগে পূর্ব বগুড়ার যাত্রীরা টেম্পু ও গরুর গাড়িতে জেলা শহরে যাতায়াত করতেন। স্বাধীনতার পর মেঠো পথে সারিয়াকান্দি সদর থেকে হবুর ও হাটফুলবাড়ী থেকে বকুলের বাস চলাচল করত এ সড়কে। বাস দুটি সকালে যাত্রী নিয়ে বগুড়া জেলা শহরে যেত, ফিরত সন্ধ্যায়। ভাড়া ছিল পাঁচ টাকা। এ বাস বন্ধ থাকায় পূর্ব বগুড়ার তিনটি সড়কে ৫ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া ৯৭ জন বাসমালিক পরিবহন ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক জানান, এ সড়কে বাস চলাচল করত তা আমার জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বশেষ খবর