ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চোখের পলকেই মধুমতী নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠিকানা। বেঁচে থাকার জন্য ছাড়তে হচ্ছে বাপ-দাদার ভিটে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীতীরের প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবারের। এ ছাড়াও ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে পাঁচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশতলা বাজার, একাধিক পাকা সড়ক, দুটি মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ ও কবরস্থানসহ শত শত বিঘা ফসলি-জমি, গাছপালাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পাঁচুরিয়া ও উত্তর চরনারানদিয়া গ্রামে মধুমতী নদীতীরবর্তী প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে মধুমতীতে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গা। এতে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০টি বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকেই সব হারিয়ে দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। অনেকে শেষ সম্বল ঘরবাড়ি, গাছপালা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সেগুলো প্রয়োজনের চেয়ে একেবারেই কম বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পাঁচুরিয়া এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন (৬০) বলেন, সারা দিন নদীর তীরে বসে থাকি। কখন সবকিছু ভেঙে নিয়ে যায়। রাতেও ঘুম আসে না। কোনোমতে ঘুম এলেও ঘুমের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, এই বুঝি ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যায়। উত্তর চরনারানদিয়ার মজিবুর মোল্লা বলেন, কয়েকদিন আগে নদীতে আমার বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। এখন আর কিছুই নেই। একেবারে নিঃস্ব। আমার মায়ের বয়স ৯০ বছরের মতো। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নদীতীরে অন্যের জমিতে একটি ছাপরা তুলে কোনোরকম বেঁচে আছি। এখন সেই ছাপরা ঘরও যে কোনো সময় নদীতে বিলীন হতে পারে। এরপর যে কোথায় যাব সে চিন্তায় আছি। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জোলেখা বেগম বলেন, ২০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। স্বামীর রেখে যাওয়া সম্বল বলতে এই ভিটে। তাও যে কোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এরপর কোথায় যাব, কী করব ভেবে পাই না। সারা রাত ঘুম তো দূরে থাক, সবসময় ভয়ে থাকি এই বুঝি ভিটেবাড়ি নদীর পেটে চলে যায়। চরনারানদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াছিন মোল্লা বলেন, পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও বেড়েছে। ভাঙন ঠেকাতে পাউবো জিওব্যাগ ফেলেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ বিষয়ে ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার বলেন, মধুমতীর ভাঙন এলাকায় বরাদ্দ অনুযায়ী আপৎকালীন জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অক্টোবর থেকে নদীভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
শিরোনাম
- জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
- চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
- মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭০০
- বরিশালের তিন অসহায় নারীর স্বামীকে রিকশা বিতরণ
- নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
- র্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে
- রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির
- প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
- ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল
- গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
- ‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
- তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
- একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
আলফাডাঙ্গায় মধুমতীর ভাঙন
• আতঙ্কে নির্ঘুম রাত • ভিটে ছাড়ছে অনেক পরিবার
বোয়ালমারী প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর