কাগজে কলমে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা ঠাকুরগাঁও। তবে বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই। এই পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের বেহাল অবস্থা। ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার করা হয়নি দীর্ঘদিন। কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পৌরসভার দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৫৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে এটি ‘ক’ শ্রেণির একটি পৌরসভা। এখানে জনসংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার। পৌর শহরে ১৯৫ কিলোমিটার রয়েছে সড়ক। যার মধ্যে ১৩৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক। তবে এর অধিকাংশই বেহাল দশা।
সারেজমিন দেখা যায়, শহরের টিকাপাড়া, গোয়ালপাড়া, সরকারপাড়া, হাজীপাড়া, শাহপাড়া, ফকিরপাড়া, আদর্শ কোলনী, জামুড়িপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, কলেজপাড়া জেলখানা রোডসহ অধিকাংশ রাস্তাই ভাঙাচোরা। জায়গায় জায়গায় যেন ছোটকুয়া তৈরি হয়েছে। গর্ত হওয়ায় রিকশা, সাইকেল, ইজিবাইকসহ ছোট যানগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। গর্তে পড়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। ড্রেনেজ ব্যবস্থারও তেমন সংস্কার হয়নি। অনেক স্থানে জমে রয়েছে ময়লা, আবার অনেক ড্রেনের সাইড ভেঙে গেছে।
পৌর এলাকার মেহেদী, আরমান, আরিফ, আব্দুল্লাহ জানান, পৌর শহরের রাস্তাঘাট-ড্রেনেজ ব্যবস্থার যা অবস্থা বলার মতো না। আমরা চাই দ্রুত এসব সড়কের সংস্কার। পৌর মেয়র বলছেন নির্বাচনের সময় দেওয়া কথা রাখতে কাজ করছেন তিনি। চলমান রয়েছে বিভিন্ন কাজ। ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলছেন, নির্বাচনের সময় দেওয়া কথা রাখতে কাজ করছেন তিনি। চলমান রয়েছে বিভিন্ন কাজ। তিনি বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য RUTDP প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত আড়াইশ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে পৌরসভার উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। দ্রুত সময়ে আধুনিক পৌরসভা করা হবে।