সবকিছু প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও চালু হয়নি জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। দুই বছর ধরে চালুর অপেক্ষায় আছে ইউনিটটি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি আছে। শুধু জনবল সংকটে গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগের সেবাবঞ্চিত জয়পুরহাটবাসী দাবি কর্তৃপক্ষের। জানা যায়, করোনার সময় সারা দেশে আইসিইউ নিয়ে সংকট দেখা দেয়। এ উপলব্ধি থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের চার তলার একটি কক্ষে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত করা হয়। ব্যয় হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। সহযোগিতা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপূর্তবিভাগ, জেলা পরিষদ এবং স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা। ইউনিটটির যাবতীয় সরঞ্জাম উন্নত মানের। দ্রুত চালুর জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে ১৬ জন সিস্টারকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার জন্য প্রয়োজন ছয়জন অবেদনবিদ (এনেসথেসিওলজিস্ট) চিকিৎসক এবং ১০ জন ওয়ার্ডবয় ও আয়া। হাসপাতালে আছেন মাত্র একজন অবেদনবিদ চিকিৎসক। জয়পুরহাট শহরের তাজুর মোড় থেকে বাবা রামনাথ দাসকে হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করার জন্য নিয়ে এসেছেন মানিক দাস। তিনি বলেন, আগে ডায়ালাইসিসও হতো না এই হাসপাতালে। এখন হচ্ছে। হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট চালুর কথা শুনছি দীর্ঘদিন থেকে। কী কারণে সেটি চালু হচ্ছে না জানি না। ইউনিটটি চালু হলে আমাদের উপকার হতো। অর্থ এবং সময় দুটোই সাশ্রয় হতো।
আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ আবদুল্লাহ রানা বলেন, ইউনিটটি চালু না হওয়ায় মুমূর্ষু রোগীদের সেবা দিতে পারছি না। তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, করোনার সময়ই আইসিইউ ইউনিটের প্রয়োজন উপলব্ধি করেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত করেছি। ১৬ জন নার্সকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। লোকবলের বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।