পদ্মা নদীর ভাঙনে ফরিদপুরে ডিক্রিরচর ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের বেশির ভাগ অংশ মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। পদ্মানদী থেকে রাতের আঁধারে যথেচ্ছ বালু উত্তোলনের কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, একই কারণে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি, বসতবাড়ি, পাকা রাস্তা, ব্রিজ, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকার সুযোগ নিয়ে বালু খেকো চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে কোনো বালু মহাল নেই। ফলে সেখান থেকে বালু উত্তোলনের বৈধতা নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কতিপয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে ডিক্রিরচর ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের পদ্মানদীর সিএন্ডবি ঘাট, ধলার মোড়, কবিরপুরচর, তাইজুদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করত। মাঝেমধ্যে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে বালুসহ ট্রাক আটক করলেও পরে রহস্যজনক কারণে সেসব ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হতো। অভিযোগ ছিল, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু তুলত চক্রটি। একযুগের বেশি সময় ধরে এ চক্রটি পদ্মানদী থেকে বালু তোলার কারণে ডিক্রিরচর, নর্থ চ্যানেল, আলিয়াবাদ এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন। সম্প্রতি, বালু উত্তোলনকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরেজমিন ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তাইজুদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীর পদ্মানদীতে দেখা গেছে, নদীর পাড় থেকে কিছুটা দূরে বালু তোলার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ট্রলারে বালু ভর্তি করা হচ্ছে। বালু তোলার বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রেজার মেশিনটি দ্রুত গোয়ালন্দ ঘাটের দিয়ে চলে যায়। বালু নেওয়ার সাথে জড়িত ট্রলার চালক আবুল হোসেন জানান, প্রতি রাতে কমপক্ষে শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হয়। এসব বালু নদীর পাড়ের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে রাখা হয়। পরে দিনের বেলা এসব বালু বিক্রি করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন। ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও চক্রটি থামেনি। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এবং বিএনপির কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু লুটের মহোৎসবে চলছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, নদী থেকে বালু লুটের কারণে ডিক্রিরচর ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নটির বেশীর ভাগ অংশ মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। তারা জানান, এ চক্রটি অবাধে বালু উত্তোলন করছে নদী থেকে। আর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন শুরু হলে এ চক্রটিই পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজসে ভাঙনরোধে বালুর বস্তা ও সিমেন্টের বোল্ডার ফেলার কাজ করে। স্থানীয়দের দাবী, যারা নদী ভাঙনের জন্য দায়ী, তারাই আবার নদী ভাঙনরোধে কাজ পায়। পদ্মা নদীকে ব্যবহার করে তারা দুহাতে টাকা কামায়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসককে জানিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। কাউকে নদী থেকে বালু লুট করতে দেওয়া হবে না, সে যতই প্রভাবশালী হোক।
শিরোনাম
- হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ৩২১ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের
- ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে চালু হচ্ছে চার জোড়া কমিউটার ট্রেন
- ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা
- পৌষের আগেই জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নামার আভাস
- আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না : ডিবিপ্রধান
- ব্যর্থ লিটন, ২৬ রানের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে বাংলাদেশ
- ছাত্র-জনতার শক্তির কাছে স্বৈরাচার পরাজিত হবেই : মঈন খান
- ১৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া আরিয়ানকে বাঁচানো গেল না
- কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
- নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার ডিকভেলা
- সিরিয়ার নৌঘাঁটি থেকে সরে যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ
- সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ
- অভিযানে বাধা, কুষ্টিয়ায় ১০ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
- ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
- বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি কষ্ট দেয়, দায় আমাদেরই : অনির্বাণ
- অর্জুনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই মালাইকার জীবনে রহস্যময় ‘প্রেমিক’!
- বড়দিন ও থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুসে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা
- ফ্রান্সে স্বামীর সহায়তায় ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫০ জন
- সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জর্ডানে ব্লিংকেন
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
প্রকাশ:
০০:০০, শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
পদ্মায় রাতে বালু লুট
বিলীনের পথে ডিক্রিরচর
প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বেপরোয়া বালু খেকো চক্র
ফরিদপুর প্রতিনিধি
এই বিভাগের আরও খবর