দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কাশিয়ারা, শিবরামপুর, হরিণাসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির করুণ দশা। এ অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও রোগীসহ নানা জরুরি কাজে মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতেও চায় না কেউ ওই গ্রামে। প্রসস্থকরণের জন্য রাস্তার পাশে থাকা গাছের কারণে টেন্ডার হওয়ার পরও কাজ হয় না রাস্তার। ভোগান্তিও শেষ হয় না কয়েক হাজার মানুষের। জনদুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে রাস্তাটি পাকা করা প্রয়োজন। রাস্তাটি প্রসস্থসহ পাকা করার জন্য গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউপির চাটশাল পাকা রাস্তার মোড় থেকে শিবারামপুর গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা এ রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ চলাচল করে। প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুম এলেই বৃষ্টিতে কাদা জমে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতেও চায় না কেউ এ গ্রামে। গ্রামবাসী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেননি জনপ্রতিনিধিরা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি দেখে মনে হয় ধান রোপণ করার জমি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ শিশুশিক্ষার্থী ও পথচারী এবং মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। এমন রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেও ভোগান্তির প্রতিবাদ করেছে গ্রামবাসী ও পথচারীরা। স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় এসে বড় বড় কথা বলে যান। নির্বাচন পার হলে তারা আর এলাকায় আসেন না। বর্ষা মৌসুমে ঘর থেকে বের হতে পারি না। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। এমনকি এ এলাকার ছেলেমেয়েদের কেউ বিয়েও করতে চায় না। বর্ষার সময় ধান বাজারে বিক্রি করতে পারি না। এক কথায় সব দিক দিয়ে পিছিয়ে এ এলাকার কয়েক গ্রাম।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোনারুল ইসলাম বলেন, ওই রাস্তার ২ কিলোমিটার এত খারাপ যে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে বর্ষায়। আর এ অবস্থা দেখে অন্য এলাকার মানুষ এসব গ্রামে রাস্তার কারণে বিয়ে দিতে চান না। এ রাস্তাটির পাকাকরণে বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও কাজ হয়নি। তাই স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করে। রাস্তায় ধান রোপণ করে প্রতিবাদ করেছে। সর্বস্তরের মানুষ রাস্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে। রাস্তার এ অবস্থার জন্য ধানের দাম পান না কৃষক।