নড়াইল সদর উপজেলার কমলাপুর, গন্ধবখালী ও ভদ্রবিলা এলাকাসহ অনেক স্থানে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা সেচ পাম্প কোনো কাজে আসছে না। বছরের পর বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সেচ পাম্পগুলো। নষ্ট হয়ে গেছে যন্ত্রাংশ। জমেছে ময়লার স্তুপ; গজিয়েছে গাছ। দেখে বোঝার উপায় নেই, একসময় এখান থেকে পাম্পের মাধ্যমে কৃষকের ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়া হতো। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলের পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার কমলাপুর ও গন্ধবখালী এলাকায় দু’টি সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ৫৪০ একর জমিতে স্বল্প মূল্যে সেচ সুবিধা প্রদান করা। ২০১৯ সালে সেচ পাম্পগুলো মেরামতের জন্য ৩৫ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। নাকশি গ্রামের কৃষক টুটুল মোল্যা জানান, ‘তাঁর এলাকায় স্থাপন করা সরকারের সেচ পাম্পটি চালু থাকলে নাকশি, কমলাপুর, ঘোষপুর গ্রামের কৃষক সুফল পেতো। এখন অচল হয়ে পড়ে আছে। সেচ পাম্পটি চালু হলে তিন গ্রামের কৃষকরা স্বল্প মূল্যে ধান, পাটসহ অন্যান্য ফসলে পানি দিতে পারতেন।’ এভাবে প্রায় ১০ বছর ধরে সদর উপজেলার কমলাপুর, গন্ধবখালী ও ভদ্রবিলা এলাকাসহ পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত সেচ পাম্পগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এখন অনেকে নিজ খরচে অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। তবে শুষ্ক মৌসুমে ঠিকমতো পানি উঠছে না। সেচ দিতে গিয়ে ভোগান্তি ও খরচ বেড়েছে কৃষকের। স্থানীয়রা জানায়, সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা দু’টি সেচ পাম্প ১০ বছর ধরে অকেজো। এক সময়ে এই দু’টি সেচ পাম্প ছিল কৃষকদের জন্য স্বল্প খরচে পানির উৎস। চিত্রা নদী থেকে সরাসরি এলাকার প্রায় ৫৪০ একর জমিতে পানি সরবরাহ করা হতো এ সেচ পাম্পের মাধ্যমে। ফলে কৃষকেরা কম খরচে তিনটি ফসল উৎপাদনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু বর্তমানে সেচ পাম্প দু’টি চালু না থাকায় তাদের বিকল্প উপায় বেছে নিতে হচ্ছে। ডিজেলচালিত শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি সরবরাহ করতে গিয়ে চরম আর্থিক সংকটে পড়ছে কৃষকেরা। কমলাপুর গ্রামের কৃষক চুন্নু গাজি বলেন, ‘ এই সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ১০ বছর আমরা বিনামূল্যে সেচ দিতাম। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সমিতি করলেন। তখন তারা বিদ্যুৎ বিলের কথা বলে টাকা নেওয়া শুরু করলেন। ৩ শতক জমিতে ৯ টাকা দিতাম। এরপর থেকে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বর্তমানে এক কানিতে (৩ শতক) ১০০ টাকা করে খরচ হচ্ছে। চাষাবাদে খরচ দ্বিগুণ হচ্ছে। অথচ সেচ প্রকল্পটি চালু থাকা স্বল্প খরচে জমিতে পানি দিতে পারতাম। এখন মেশিন দিয়ে পানি দিতে গিয়ে অধিক টাকা খরচ হচ্ছে। নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজীৎ কুমার সাহা বলেন, ‘পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। অকেজো সেচ পাম্পগুলো চালু করতে চাহিদা পত্র দিয়েছি। বাজেট বরাদ্দ হলে শিগগিরই মেরামত কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
শিরোনাম
- ভারত নদীতে বাঁধ দিয়ে আধিপত্যবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় : সাকি
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে জনগণের সমর্থন ছিল : প্রেস সচিব
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ মে)
- মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি, শেষ হওয়ারও নয়
- যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে পালালেন খুনের আসামিসহ ১১ বন্দি
- চাঁদপুরে পুলিশের চুরি যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আটক ২
- টেকনাফে স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
- মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম
- বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়ে ববিতে আলোচনা সভা
- করিমগঞ্জে বজ্রপাতে যুবক নিহত
- রাজধানীতে দুই খুন
- গাজায় প্রতি ৪ মিনিটে একবার হামলা, প্রাণ গেল শতাধিক মানুষের
- সিলেটে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
- রমেকে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগ নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শন
- অবৈধভাবে পাচারকালে ৩০ হাজার রেনু উদ্ধার, নদীতে অবমুক্ত
- রংপুরে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিরোধী কর্মশালা
- যৌতুক না দেওয়ায় বিয়ের আসর থেকে বর পালাল, সংঘর্ষে আহত ৫
- পদ্মার দুই ইলিশ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি
- কবরস্থানের সভাপতি পদে নির্বাচন, লড়বেন দুই বিএনপি নেতা
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ