জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ হন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার আব্বাসনগর গ্রামের জাকির। নিজের উপার্জনের টাকায় কেনা জমিতেই দাফন হয়েছে তার। ছেলের কবরের পাশে সন্তানহারা মাকে ঘর তুলে দিচ্ছে সরকার। জায়গাটি প্রভাশালীদের দখলে ছিল। জাকির নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা প্রশাসনের সহায়তায় জমিটি উদ্ধার করে সেখানে তাকে দাফন করে। সেই কবরের পাশে মায়ের জন্য ঘর করে দেওয়ায় সবাই খুশি। তবে বাড়ি নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে রয়েছে শঙ্কাও। জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, জুলাই আন্দোলনে নেত্রকোনার ১০ উপজেলার ১৭ জন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গুলিতে প্রাণ হারান। তিন উপজেলায় শহীদ তিনজনের পরিবারের জন্য ঘর তৈরি হচ্ছে। জুলাই শহীদ কারও পরিবার যেন গৃহহীন না থাকে সেদিকে সরকার নজর দিচ্ছে। যাদের জমি আছে তাদের সেখানে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। যাদের জমি নেই তাদের জায়গা কিনে করা হবে ঘরের ব্যবস্থা। জাকিরের জায়গাটি বেদখল ছিল। উদ্ধারের পর ঘর নির্মাণকাজ চলছে। গত বছর ২১ জুলাই কাজ শেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের কাঁচপুরে যান জাকির। পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। হাসপাতালে মারা যান তিনি। দুই দিন পর ছেলের মৃত্যুর খবর পান হতভাগা মা।
অনেক কষ্টে ছেলের লাশ নিয়ে যান নিজ গ্রাম নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার আব্বাসনগরে। কেনা জমি দখলমুক্ত করে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
৫ আগস্টের পর আন্দোলনকারী ছাত্ররা দফায় দফায় বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রাখেন জাকিরের কবরের পাশে মায়ের জন্য ঘর তৈরির। সেই ঘরের নির্মাণকাজ চলছে।