কুতুবদিয়া সমুদ্র উপকূলজুড়ে চলছে ঝাউগাছ নিধন। এ ছাড়া সৈকতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি, দোকান। ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এতে সৈকত সৌন্দর্য হারানোর পাশাপাশি অরক্ষিত হয়ে উঠেছে সাগরতীর। কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মাঝিরপাড়া ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা। জেলেদের আসা-যাওয়া, আহরিত মাছ অবতরণসহ নানা কারণে এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে সৈকতের তীর রক্ষায় লাগানো ঝাউগাছ কেটে গড়ে উঠছে অস্থায়ী বসতি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কক্সবাজার জেলা পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সভাপতি এইচ এম এরশাদ বলেন, একটি চক্র সুযোগ পেলেই ঝাউগাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ এবং নৌকা তৈরি করছে। তারা দখল করছে সরকারি খাস জায়গাও। এ রকম চলতে থাকলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। দ্রুত এদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। কুতুবদিয়া থানার ওসি আরমান হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদেরও নজরে আছে। সেক্টর আলাদা। বনবিভাগ আমাদের সহযোগিতা চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন বিভাগের কুতুবদিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বন আইনে মামলা দেওয়া হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, যারা ঝাউগাছ কাটছে তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, ঝাউবনের ভিতর ও সড়কের পাশে রাখা ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকজন সিন্ডিকেট করে ঝাউবন দখলের জন্য টার্গেট করা স্থানে ময়লা ফেলে ভরাট করছে। এ ছাড়া সাগরের তীর থেকে মাছ আনতে ঝাউবন কেটে করা হয়েছে রাস্তা। দিনরাত গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে পরিবহন করা হয় মাছ ও ট্রলারের পণ্য। ঝাউবনের ভিতর নির্মাণ করা হচ্ছে ইঞ্জিলচালিত নৌকা। কৈয়ারবিল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সি-বিচ এলাকাজুড়ে বনের ভিতর তৈরি করা হচ্ছে ছোট ছোট ঘর। সুযোগ পেলে কাটা হচ্ছে গাছ। বড় বড় ঝাউগাছ রাতের আঁধারে কেটে ফেলছে। এতে সৈকতের সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।