কক্সবাজারে মহাসড়কের ওপর পশুর হাটের কারণে সৃষ্ট যানজট ঈদে ঘরমুখী মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলায় ৯৪টি পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে স্থায়ী বাজার ৪৮টি, কোরবানি উপলক্ষে ৪৬টি। সদরে ১৪টি, রামুতে ১৩টি, চকরিয়ায় ১৬টি, পেকুয়ায় আটটি, উখিয়ায় আটটি, টেকনাফে সাতটি, মহেশখালীতে ছয়টি, কুতুবদিয়ায় ছয়টি পশুহাট রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া, কাটির মাথা ও মরিচ্যা, ঈদগাঁও এলাকায় মহাসড়কের ওপর পশুর হাট বসানোর কারণে চরম যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ উখিয়ার মরিচ্যা পশুর হাটটি মহাসড়কের ওপর। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে টেকনাফ-কক্সবাজারমুখী শত শত যানবাহন আটকা পড়তে দেখা যায়। সিএনজিচালক আমির হোসেন বলেন, ‘বিকালে ভাড়া নিয়ে উখিয়া যাচ্ছিলাম। মরিচ্যায় পশুর হাটটি মহাসড়কের ওপর হওয়ায় দীর্ঘ ২ ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ি। উখিয়া ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আপাততে যানজট নিরসনে কাজ করতে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহাসড়ক থেকে মরিচ্যার পশুর হাটটি সরানোর জন্য বাজারের আশপাশে খাসজমি খোঁজা হচ্ছে।’ কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, মোস্তফা মুন্সী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মহাসড়কের ওপর পশুর হাট নিয়ে জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করা হয়েছে। তবুও কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী মহাসড়কের ওপর পশুর হাট বসানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এসব পশুর হাটগুলো দীর্ঘদিনের। তবুও বাজারগুলো সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’