মাগুরায় প্রায় ২০০ মরা মুরগি বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করার সময় পৌরসভা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন নতুন বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলমগীরের বিরুদ্ধে গোপনে মরা মুরগি বিক্রির অভিযোগ আসছিল। এ ব্যাপারে তাকে অনেকবার সতর্ক করেছি। গতকাল ভোরে নতুন বাজারে পরিদর্শনে এসে দেখি আলমগীর ও তার এক কর্মচারী প্রায় ২০০ মরা মুরগি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর আমার ওপর চড়াও হন। এ সময় আমার সহকর্মী রিয়াজুল হোসেনকে পুরাতন বাজারে আনতে গেলে সেই সুযোগে আলমগীর তার দোকান থেকে শতাধিক মরা মুরগি সরিয়ে ফেলেন। সেই সঙ্গে তিনিও দোকান থেকে সরে পড়েন। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে মরা মুরগিগুলো কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে বলেন। অফিস খুললে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কসাইখানা পরিদর্শক রিয়াজুল হোসেন খান জানান, আলমগীর প্রায়ই শহরে মাইকিং করে বাজারদরের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে মুরগি বিক্রি করে। সুস্থ-সবল মুরগি হলে যা কখনোই সম্ভব নয়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অন্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল। আমরা ধারণা করছি, এসব মরা মুরগি কম দামে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, কাবাব বিক্রেতা ও বিরিয়ানি হাউজে বিক্রি করে থাকেন।