তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে জয়পুরহাটের কালাইয়ে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটুসমান পানি জমেছে উপজেলার মোসলেমগঞ্জ হাটে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। তাদের ভাষ্য, আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় পুরো হাট। বেশি বৃষ্টি হলে অনেক সময় হাট বসে না। জানা যায়, সপ্তাহে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার মোসলেমগঞ্জ হাটবার। এ ছাড়া প্রতিদিন বসে বাজার। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এখানে। এ ছাড়া প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে হাটের ভিতর দিয়ে যাওয়া সড়কে। টানা বৃষ্টির পানি জমে হাটে। তারপরও শুক্রবার হাট বসে। সন্ধ্যার আগেই আবার নামলে সবকিছুই তলিয়ে যায়। চরম দুর্ভোগের শিকার হন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থী, যানবাহনের যাত্রী-চালক, পথচারী ও হাটুরেরা।
মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তহিদুর রহমান বলেন, এই সমস্যা বহুদিনের। বিদ্যালয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তা হাটের ভিতর হয়ে। এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর কাপড় ও জুতা ভিজে যায়। অনেকের বই, খাতা, ব্যাগও পানিতে নষ্ট হয়। ইউনিয়ন পরিষদে অনেকবার বলেছি, লাভ হয়নি। হাটুরেরা জানান, এটি এলাকার একমাত্র হাট। প্রতিদিন না এলেও হাটবারে সবাইকে আসতে হয়। হাটে পানি জমে থাকলে অনেকেই কেনা-কাটা না করে চলে যান।
ব্যবসায়ী হিটলু সরকার বলেন, দিনদিন হাটের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনাও জমে থাকে। সবজি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, হাটের জায়গা কাদাপানিতে একাকার, তারপরও চাটি বিছে দোকানদারি শুরু করি। এ অবস্থা চলতে থাকলে এই হাটে আর আসব না। ইজারাদার মফিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মাত্র হাট পেয়ে মাশুল আদায় করছি। এ সবের কিছুই জানি না। গত শুক্রবার হাটে মাঠে বৃষ্টির পানি জমায় বেচা-কেনা হয়নি। আদায় হয়নি মাশুলও। অনেক ব্যবসীর ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সচিব বুলবুল আহম্মেদ বলেন, এ হাটের বিষয়ে আগামী উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে।