কালীগঞ্জে অন্য ফসলের পাশাপাশি মাল্টা চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। কালীগঞ্জের কাকিনার কৃষক রঞ্জু মিয়া ৬৫ শতাংশ জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করেছেন। সবুজ পাতার ফাঁকে ঝুলছে ফল। মাল্টা চাষেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। পাশাপাশি মাল্টা বাগানের পরিত্যক্ত জায়গায় সাথী ফসল হিসেবে মুখি কচু ও সুপারির চারা রোপণ করেছেন। একই জমিতে তিন ফসল আবাদ করে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। রঞ্জু মিয়া জানান, বারি-১ জাতের মাল্টার ফলন ও চাহিদা ভালো। প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করছি। মাল্টা বাগানের পরিত্যক্ত যায়গায় মুখি কচু ও সুপারির চারা রোপণ করেছি। এতে কিছু বাড়তি আয় হচ্ছে। কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, রঞ্জু মিয়ার মাল্টা বাগান দেখে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন। দিন দিন এক জমিতে তিন ফসল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কালীগঞ্জ উপজেলায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি জানান, কালীগঞ্জের মাটি বেলে-দো-আঁশ এবং উঁচু। এখানকার মাটিতে পিএইচের পরিমাণ কম হওয়ায় এসিডিটি থাকায় মাল্টা ও কমলার ফলন ভালো হয়। বারি-১ জাতের মাল্টার ভালো ফলন ও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি।