উজানের ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি কমে বিপৎসীমার কাছে রয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার চর ও দ্বীপচর এলাকায় অনেক সড়কে পানি উঠে গেছে। কলার গাছের ভেলায় উঠে পারাপার হতে হচ্ছে অনেককেই। ১২০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় জানায়, কয়েকদিন ধরে তিস্তা ও দুধকুমর নদসহ সব নদনদীর পানি বাড়লেও তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি সামান্য কমেছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুধকুমর নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে ও শিমুলবাড়ি পয়েন্টে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী, নুনখাওয়া ও হাতিয়া পয়েন্টে নতুন করে পানি বাড়লেও বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হয়।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, চলতি বন্যায় তিস্তা, দুধকুমর ও ধরলাসহ নদীর চর ও দ্বীপচরে বেশ কিছু জমির রোপা আমন, শাকসবজিসহ নানা ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে পানি দ্রুত নেমে গেলে এসব ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম।