দিনাজপুরে বাড়ছে কলা চাষ। কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় কলা আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। কলা চাষে ঝুঁকি কম এবং রোগবালাই নেই বললেই চলে। খেতে ছয় মাস পর্যন্ত সাথি ফসল হিসেবে সবজি আবাদ করা যায়। যা বিক্রি করে চাষিরা কলা খেত পরিচর্যার খরচ তোলার পর আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারেন। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ দিনাজপুরের ‘দশমাইল কলার হাট’ও এখন জমজমাট। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত অর্থবছরে খরিপ-১ ও রবি মৌসুমে জেলায় কলার আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে। এবার ৩৪ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ বেশি হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয় দিনাজপুরের কলা। মৌসুমে প্রতিদিন এখানে প্রায় কোটি টাকার কলার বাণিজ্য হয়। আদায় হয় বিপুল রাজস্ব। অন্য জেলার কলা ব্যবসায়ীদের দশমাইল কলার হাটে থাকার সুবিধা, শেড, টয়লেটের ব্যবস্থা করা হলে বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। দশমাইল কলার হাটে দেখা যায় প্রতিদিন সকালে ব্যস্ত সময় পার করেন কলা চাষি, ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। দিনাজপুর জেলার মধ্যে বেশি কলা চাষ হয় সদর, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, কাহারোল ও বিরল উপজেলায়। দশমাইল কলার হাটে বিভিন্ন স্থানের চাষিরা বিক্রির জন্য কলা নিয়ে আসেন। শ্রাবণে শুরু হয়ে কার্তিকের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এখানে চলে জমজমাট কলা বিকিকিনি। বীরগঞ্জের কলা চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, এক বিঘায় ৭০০টি পর্যন্ত গাছ লাগানো যায়। রোপণ থেকে ফসল তোলা পর্যন্ত সার-কীটনাশক, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি কাদি কলার দাম ৪০০ টাকা হলে ১ লাখ টাকার বেশি লাভ থাকে।
হাটের ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, চাষিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়ায় অনেক সময় অগ্রিম টাকাও দেওয়া হয়। বর্তমানে শ্রমিকের মজুরি থেকে ট্রাক ভাড়া সব কিছুর দাম বাড়ায় লাভ কমেছে।