চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুষ্ক মৌসুমেও পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অসময়ে নদীভাঙনের ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নদী-তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে দুই উপজেলার সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, ৩ হাজার বিঘা ফসলি জমি, মসজিদসহ ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, স্থায়ী ভাঙন রোধে প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে কয়েক দফায় নদীতে পানি বাড়ে ও কমে। এই হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলী, নারায়ণপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, উজিরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে।
বর্তমানে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদীর আশপাশের এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দিন কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। ভাঙন আতঙ্কে এখন প্রায় প্রতি এলাকা থেকেই মানুষ বাড়িঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াসহ অসহায় মানুষের সহায়তার প্রয়োজন মনে করছেন ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন। শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা ও এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশী বেলাল-ই-বাকি ইদ্রিশী বলেন, নদীভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে একসময় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার অস্তিত্ব। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজ শুরু করা যাবে।