গাইবান্ধা পৌরসভার বিভিন্ন বাজারে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়। এ ছাড়া যেখানে সেখানে পশু জবাই করা হয়। এতে ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর মধ্যে গাইবান্ধা পৌরসভার হকার্স মার্কেটের অবস্থা একেবারেই খারাপ। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এ বাজারে নির্দিষ্ট শেড থাকলেও যত্রতত্র পশু জবাই করা হয়। বর্জ্য ফেলে রাখায় দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, হকার্স মার্কেটে মুরগি ব্যবসায়ীরা মুরগি জবাই করে রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ও মলমূত্র যত্রতত্র ফেলে রেখেছেন। ড্রেনের ওপর খাসি জবাই করে রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, মলমূত্র ফেলায় সেখান দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্গন্ধের কারণে বাজারে মানুষ নাক চেপে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে দিনদিন ক্রেতাসমাগম কমে যাচ্ছে। অন্য ব্যবসায়ীরা পড়ছেন ক্রেতাসংকটে। চা স্টল, হোটেলসহ খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ, খাসি জবাইয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয় না। অনেক কসাই রোগাক্রান্ত ও অপরিণত পশু জবাই করছেন। মার্কেটে ড্রেনের ওপর খাসি জবাই করে রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, মলমূত্র ফেলে রাখেন। এতে ড্রেনে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন পশু জবাইয়ের আগে পৌরসভা থেকে যাচাইবাছাই করে জবাইয়ের উপযোগীর সিল দেওয়ার কথা। কোনো জবাবদিহি না থাকায় কসাইরা ইচ্ছামতো রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে বিক্রি করছেন। এর ফলে ভোক্তাদের নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক ব্যবসায়ী ও ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, অনেক কসাই রোগাক্রান্ত ও অপরিণত পশু জবাই করছেন। জবাবদিহি না থাকায় ভোক্তারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমন রোগাক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে নানান রোগে আক্রান্তও হচ্ছে মানুষ। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এসব অনিয়ম প্রতিকারে পৌর প্রশাসককে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো কাজ হয়নি। গাইবান্ধা পৌর প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। সব সমস্যার সমাধান করা হবে।’