নারায়ণগঞ্জের মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানেই বড় বড় গর্ত, ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় পিচ উঠে গেছে, কোথাও রাস্তা ধসে গেছে। সড়কটি সংস্কারের বছর পার না হতেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, বলছেন স্থানীয়রা। গাড়ি উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো কখনো ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। বন্দর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীদের।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে পিচঢালাই, চারটি কালভার্ট ও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সড়ক মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার বছর পার না হতেই বড় বড় গর্ত, ফাটল ও ধসে গেছে সড়কটি। মাঝেমধ্যে সাময়িক সংস্কার করা হলেও এতে কোনো লাভ হয়নি।
২০২২ সালের অক্টোবরে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হওয়ার পরই পাল্টে যায় চিত্র। সড়কটিতে বাড়তে থাকে ভারী, মাঝারি ছোট যানবাহনের চাপ। অল্প সময়ের মধ্যেই সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এরপর চলতি মাসে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলিমুদ্দিন বলেন, এই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষ অনেক ভোগান্তি পোহাচ্ছে। হেলেদুলে চলাচল করে থাকে যানবাহন। মাঝেমধ্যেই গাড়ি উল্টে যায়। তখন রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানজট লেগে যায়।
কাভার্ড ভ্যানচালক রাসেল বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। গর্তে গাড়ির চাকা দেবে যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। বড় বড় গর্তের কারণে সারা দিনই রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। দ্রুত এ রাস্তার সংস্কার করা দরকার।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের কাজ চলমান থাকায় অধিকাংশ ভারী যানবাহন এই রুট ব্যবহার করছে। কিন্তু এ সড়কটি ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। চলতি অর্থবছরেই আমরা সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করব। আশা করছি, আগামী জানুয়ারির মধ্যেই সড়কটি চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে।