সরকারের সদিচ্ছা থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শন্তিচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও রাঙামাটি ২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।
তিনি বলেন, বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর দীর্ঘ ১৮টি বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু চুক্তি আজও বাস্তবায়িত হতে পারেনি। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার অনেক কিছু কথা বলে থাকেন- অথচ তার কোন আন্তরিকতার প্রতিফলন দেখতে পাইনি জুম্মজাতি। চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বড় অন্তরায় হচ্ছে শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর অব্যাহত ষড়যন্ত্র, উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা এবং সশস্ত্র সন্ত্রাস। তাছাড়া বিশ বছর সশস্ত্র সংগ্রামের পর পার্বত্য চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে করতে হবে। এ মধ্য দিয়েই এমএন লারমার স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
মঙ্গলবার মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে আয়োজিত স্বরণসভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার এসব কথা বলেন।
সকাল ১০টায় শহরের রাজবাড়ীর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জনসংহতি সমিতি আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি ২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার। বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মাধবী লতা চাকমা, এমএন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশন সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা। সভাপতিত্ব করেন জনসংহতি সমিতির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি সুর্বণা চাকমা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন