গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে বাঁচলো রোজিনা (১৩) নামের এক কিশোরী। সোমবার বিকালে বাল্য বিয়ের অপরাধে মাগুরা সদর উপজেলার নড়িহাটিতে বরকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বরের নানা ও কনের বাবাকে জারিমানা করা হয়।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুরে সদরের হাজরাপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান (২৩) পার্শ্ববর্তী নড়িহাটি গ্রামে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া রোজিনা (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করতে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিনি, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রেগ্রাম অফিসার সালমা খাতুন, উপজেলা নিবার্হী অফিসের বেঞ্চ সহকারি এএসএম আক্তারুজ্জামান ও হাজিপুর ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। এ সময় উপস্থিত স্বাক্ষের ভিত্তিতে ১৯২৯ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন এর ৪ ও ৬ ধারা মোতাবেক বর মনিরুজ্জামানকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বরের নানা সলেমান ঢালি ও কনের বাবা আকিদুল শেখকে ১ হাজার টাকা করে জারিমানা করেন। বিকেলে বর মনিরুজ্জামানকে মাগুরা জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব