বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খোদ আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে চাঁদা চেয়েছেন দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা। সরাসরি এই চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান টিটুর বিরুদ্ধে। আজ শনিবার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টিটুর অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দুর্নাম হচ্ছে।
টিটু নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর ১০ জন শ্রমিকের অর্থ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতারা ওই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ওই ৮০ হাজার টাকা চেয়েছেন টিটু। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মল হোসেনের কাছে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু যৌথভাবে ওই অভিযাগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এই চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে অপর দুই জনকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক বানানোর চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ওবায়দুর রহমান টিটু বলেন, ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর বিলের টাকা থেকে ছাত্রলীগের নামে ৮০ হাজার টাকা কেটে রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু। গরীব শ্রমিকদের টাকা ছাত্রলীগের নামে কেটে রেখে আত্মসাতের ঘটনার প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন বাচ্চু।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ নিশাত বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক। এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে দল থেকে পদত্যাগ করারও ঘোষণা দেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব