ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও প্রবাসী আ’লীগ নেতা হাজী রহিম উল্যাহকে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার বিকেলে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে হাজী রহিম উল্যাহ তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যাওয়ার সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর অনুসারীরা সোনাগাজী শহরের জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকে পথ আটকে রাখে। এসময় এমপি রহিম উল্যাহ সোনাগাজী থানায় অবস্থান করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দুপুরের পর থেকে দুই এমপির নেতাকর্মীরা শহরের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করতে। এসময় সোনাগাজী-মুহুরীপ্রজেক্টের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সোনাগাজী থানা পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দু'গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান করায় এমপি রহিম উল্যাহকে পুলিশি হেফাজতে থানায় নিয়ে যায় সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল আমিরুল ইসলাম।
এদিকে একইসময় জিরো পয়েন্টে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনের বাড়িতে বোমা হামলার প্রতিবাদ সমাবেশ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ। প্রায় ৩ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানা থেকে বের হয়ে এমপি রহিম উল্যাহ তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি বলেন, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যার চেষ্টা করছেন। নিজাম হাজারীর জন্ম হয়েছে মানুষকে খুন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী তাকে রেহায় দিবেনা। তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করার আমাকে মারার পরিকল্পনা করছে। এর আগে নিজাম হাজারী খুন, ডাকাতি, ধর্ষণসহ বহু অপকর্ম করেছে। আমার কাছে সকল প্রমাণ আছে।
উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি জামাল উদ্দিন জানান, হাজী রহিম উল্যাহকে এলাকার মানুষ পছন্দ করে না। তিনি এলাকার কোনো কাজ করে না। এজন্য মানুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কেউ তাকে অবরুদ্ধ করেনি। জিরো পয়েন্টে আমাদের পূর্ব কর্মসূচী ছিল।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হুমায়ুন কবির জানান, দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান করায় আমরা এমপি মহোদয়কে নিরাপদে রাখার জন্য থানার কম্পাউন্ডের মধ্যে নিজেদের হেফাজতে রাখি। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলা করতে সোনাগাজী থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এমপি রহিম উল্যাহর সেনাগাজীর সোনাপুরের বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও পাকা গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্বার করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন