মেহেরপুর সদর উপজেলার রামনগর কলোনীপাড়ায় জামাই আলমগীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত শ্বশুর পন্ডিত আলী রবিবার ভোরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এ ঘটনার পর ঘাতক আলমগীরের বিচারের দাবিতে মেহেরপুরে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসীরা।
রবিবার সকালে পন্ডিত আলীর মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা আলমগীরের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে মেহেরপুর শহরে গিয়ে সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের বাসভবন প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিচার দাবি করে। পরে সংসদ সদস্য তাদের দাবি শুনে বিচারের আশ্বাস দিলে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যায়।
এ সময় সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস্ত করেন এই বলে যে, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে।
স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার বাসেদ আলীর ছেলে পন্ডিত আলী তার জামাই সরজ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনর বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আলমগীর বেশ কিছুদিন কারাভোগ করে গত ১৭ জানুয়ারি রবিবার জামিনে মুক্তি পায়। পরদিন সোমবার রাতে আলমগীর তার শ্বশুরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শ্বশুর পন্ডিত আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার ভোরে তিনি মারা যান।
এর আগে পুলিশ ঘটনার রাতেই আলমগীর, তার পিতা সরজ আলী ও মা রোকেয়া বেগমকে আটক করে। তারা বর্তমানে মেহেরপুর জেলা হাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ঘটনার পরদিনই আলমগীরকে প্রধান আসামী করে দায়ের করা একটি মামলায় আলমগীরসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ওই মামলাটিতে আজ নতুন করে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা সংযুক্ত হবে বলে তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব