পিতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদ। আজ সোমবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার পিতা মরহুম সুন্দর আলী খাঁনের কবরের পশে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর গলাচিপা শহরের জৈনপুরী খানকা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
পটুয়াখালী প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক আলতাফ মাহামুদকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের সাংবাদিকরা এক অভিভাবককে হারালাম। দক্ষিণাঞ্চলের সাংবাদিকদের ঢাকায় যে কোন সমস্যার জন্য তার কাছে বটবৃক্ষের মত আশ্রয় পেত। তাই আলতাফ ভাইর মৃত্যুতে সাংবাদিকরা অসহায় হয়ে পড়েছে বলেন সাংবাদিক আনোয়ার।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৩ গলাচিপা-দশমিনা আসনের সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন, পৌর মেয়র ওহাব খলিফা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামমুজ্জামান লিকনসহ অন্যান্যরা। মরহুমের স্ত্রী-পুত্রসহ তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় আত্মীয় স্বজন, সাংবাদিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী শরীক হন। তার মৃত্যুতে প্রেসক্লাব পটুয়াখালী ও গলাচপা প্রেসক্লাব তিন দিনের শোক জানিয়ে কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
রোববার বিকাল ৫টার দিকে হেকিপ্টার যোগে আলতাফ মাহামুদের কফিন গলাচিপা শহরে পৌছলে কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সাংবাদিকদের সমাগমে প্রেসক্লাব চত্বরসহ সামাজিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষ।
এসময় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দরা তার মৃতদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। রাতে তার মৃতদেহ উপজেলা শহরের ৭নং ওয়ার্ডের নিজ বাসভবনে রাখা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা