ময়মনসিংহে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানে বাধা দিতে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধিভূষণ দাসকে তুলে নিয়ে ২৪ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার বিকেলে বিধিভূষণ এ প্রতিবেদককে এমন অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, রবিবারের জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যেন উপস্থিত থাকতে না পারি এজন্যই এমপির ক্যাডাররা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। দল এবং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতেই এমপি মজিবুর রহমান ফকির তার ক্যাডারদের দিয়ে আমাকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন। আমি বর্ধিত সভায় যোগ দিলে এমপি একক সিদ্ধান্ত নিতে পারতনা। এজন্যই তার ক্যাডারদের দিয়ে তিনি এমন জঘন্য কাজ করিয়েছেন।
এ ঘটনায় আজ সোমবার গৌরীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে বলেও জানান।
বিধিভূষণ দাস জানান, গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে একটি প্রাইভেটকার করে পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মিথুন এবং এমপি ক্যাপ্টেন (অব:) মজিবুর রহমান ফকিরের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী শাহাবুল আলম তার বাসার সামনে আসে। গৌরীপুরের গাজীপুরে একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে বলে আমাকে জানায়। এ সময় তারা বলে, আপনি এমপির প্রতিনিধি হিসেবে থাকলে জিনিসটা সুন্দর ভাবে হয়ে যাবে। এ কথা বলে আমাকে প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। পরে আমাকে সেখানে না নিয়ে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর গড়ে নিয়ে যায়। এবং সেখানে একটি বাংলোতে রাখে। এখানে কেন জানতে চাইলে মিথুন পিস্তল ঠেকিয়ে বলে আপনি চুপ করে বসে থাকেন। বর্ধিত সভা শেষ হলে আপনি মুক্তি পাবেন। এই বলে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে রবিবার বিকেলে আমাকে নিয়ে তারা রওনা দেয়। রাত ৮ টার দিকে তারা আমাকে গৌরীপুরে পৌঁছে দেয়।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেহেদী হাসান মিথুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। দলীয় গ্রুপিং এর কারণেই আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
এমপি মজিবুর রহমানের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী শাহাবুল আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি আজ। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন উনি সেদিন গৌরীপুরেই ছিলেন। তিনি এখন শারীরিক ভাবে অসুস্থ। একটি মহল তাকে লেলিয়ে দিচ্ছে বলেই তিনি এমন করছেন।
এ বিষয়ে গৌরীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার মোর্শেদ বলেন, বিধিভূষণ দাস আজ একটি জিডি করেছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন