লক্ষ্মীপুরে বিরিয়ানী খেয়ে স্থানীয় উপশম হাসপাতালের আয়া পারুল বেগমের স্বামী মো. লিটন মারা গেছেন। একই ঘটনায় সদর হাসপাতালের ৫ চিকিৎসক ও পরিবারের শিশু সদস্যসহ অসুস্থ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে লিটন মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সদর হাসপাতাল হলরুমে ব্র্যাকের একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনারে বিরিয়ানী খাওয়ার পর অসুস্থ হন তারা। অসুস্থদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
এদিকে, ওই অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠান নাসির বিরিয়ানী হাউজকে আজ দুপুরে ভোক্তা অধিকার আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে মালিকের ৩ মাসের জেল ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যামাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান ও জেলা সিভিল সার্জন গোলাম ফারুক ভূঁইয়ার উপস্থিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে ব্র্যাক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে লক্ষ্মীপুর শহরের নাছির বিরিয়ানী হাউস থেকে বিরিয়ানী এনে আপ্যায়ন করানো হয়। বিরিয়ানী খাওয়ার পর থেকে অনেকেই পাতলা পায়খানা ও পরে বমি করতে থাকেন। প্রথমে তারা বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও পরে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসকসহ কমপক্ষে ১০ জন সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিহত লিটনের স্ত্রী পারুল বেগম জানান, এক চিকিৎসকের দেয়া বিরিয়ানী তিনি না খেয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। রাতে ওই বিরিয়ানী তার স্বামী ও সন্তান খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থার অবনতিতে বুধবার সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথেই প্রাণ হারান লিটন। আর অসুস্থ শিশু সন্তান চাঁদনীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
অসুস্থ চিকিৎসকরা হলেন সদর হাসপাতালের ইএনটি কনসালটেন্ট ডা. ওমর ফারুক, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. ইকবাল হোসেন, রেডিওলজি কনসালটেন্ট ডা.সালাউদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডা.চিন্ময় সাহা, ডা. বনি আদম। অসুস্থ্য চিকিৎসকদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ডা. আবদুর রহমান খালিদের স্ত্রী ও এক শিশুসহ আরও তিনজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা