পার্বতীপুর-দিনাজপুর সড়কের দু'ধারে ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তা প্রশস্থ (চওড়া) না থাকায় ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের ৩ জুলাই পার্বতীপুর শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মিত ৪৬ মিটার দীর্ঘ সড়ক সেতুর দুটি গার্ডা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হওয়ায় ওই সড়কে সকল ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে পথচারী ও যানবাহন চালকরা চরম ভোগানি্ততে পড়েছে। এছাড়া প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার। মাঝপথে রয়েছে চিরিরবন্দর উপজেলা। এ দুই উপজেলাসহ দিনাজপুর শহরকে বিভাগীয় শহর রংপুরের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে এই সড়ক। এ সড়ক পথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও শতশত যানবাহন চলাচল করে। গত ৫-৭ বছরে এ সড়কের দু'পাশে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো ব্যবসা কেন্দ্র। এর মধ্যে পার্বতীপুর উপজেলার যশাই মোড়, ভবেরবাজার, বানিয়াপাড়ার মোড় ও রাজাবাসর ল্যাম্ব হাসপাতাল এবং চিরিরবন্দর উপজেলার ভোলানাথপুর গার্মেন্টস মোড়, ঘুঘুরাতলী, বেলতলী ও কারেন্ট হাট এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দৈনন্দিন বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, গুদাম ঘর ও ছোটবড় শিল্প কারখানাসহ স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে উঠেছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার ভোলানাথপুর গার্মেন্টস মোড়ের মুদি রদাকানদার শাহ আলম (২৭) বলেন, 'এ পর্যন্ত দু'টি সড়ক দুুর্ঘটনায় এখানে ৬ জন মারা গেছেন।'
রাজাবাসর ল্যাম্ব হাসপাতাল এলাকার মেনহাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, 'সড়কের দু'ধারে রাস্তা প্রশস্থ (চওড়া) না থাকায় রাস্তা ভেঙ্গে সৃষ্ট গর্ত দূর করতে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।
পার্বতীপুরের মন্মথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ আলী শাহ বলেন, 'পার্বতীপুর-দিনাজপুর সড়কের দু'ধারে গর্ত সৃষ্টি ও রাস্তা প্রশস্থ (চওড়া) না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও যানবাহন। '
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক রাস্তার দূরাবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, 'দিনাজপুর জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ নিয়ে আমি বিস্তর তর্ক-বিতর্ক করে আসছি। আশা করা যায় অল্প দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।'
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুল রহমান বলেন, 'পার্বতীপুর-দিনাজপুর সড়কের পথচারী ও যানবাহন চলাচলের দুর্ভোগ দুর করতে ইতিমধ্যে দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের জানানো হয়েছে।'
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকেৌশলী মো. সুরুজ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, একনেকে বিল পাস হলে আগামী বছর জুন মাসে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ