যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বাজারের গাইদগাছি এলাকায় 'বাংকার' নির্মাণের ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা এ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫৩ জনকে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে আটক ১২ জনের মধ্যে ৬ জনকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইদগাছি এলাকায় শিবিরের আঞ্চলিক অফিসের পেছনে বাংকার নির্মাণের সন্দেহে পুলিশ সেখান থেকে ১২ জনকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে ১০টি বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলেও পুলিশ দাবি করে। ওই এলাকার রাশেদুল ইসলামের মেহগনি বাগানের ভেতরে নাশকতার কাজে ৩৮ ফুট লম্বা, ১২ ফুট চওড়া ও ৮ ফুট গভীরতার 'বাংকার' সদৃশ এ স্থাপনাটি তৈরি করা হচ্ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। অবশ্য জামায়াত নেতারা দাবি করছেন, স্থাপনাটি নির্মীয়মান একটি বাড়ির বেজমেন্ট ছাড়া কিছুই নয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন আজ শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'ওই স্থাপনাটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ও অর্থদাতাদের নাম জানা গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের ৫টি টিম মাঠে কাজ করছে। আর থানায় এ ব্যাপারে ৫৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।' তিনি বলেন, 'বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে যে ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬ জনকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। বাকিদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।'
বিডি-প্রতিদিন/১১ মার্চ ২০১৬/শরীফ