রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বাবলু হোসেন মৃত্যুর তিনমাস পর ময়না তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত মদ্যপানে নয়, বাবুল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে মদের সঙ্গে বিষ প্রয়োগের ফলে।
পুলিশ জানায়, এই হত্যার জট খুলতে তিনদিন আগে লিটন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করার পর আদালতের মাধ্যমে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। লিটনকে রিমান্ডে নেওয়ার পর বের হতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফলে ওই এলাকার অনেকেই ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিতে শুরু করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, পৌর নির্বাচন উপলক্ষে সরকার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন অনেকে। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন বাবুল হোসেন। বিষয়টি দলের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মানতে নারাজ ছিলেন। মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে কেউ ষড়যন্ত্র করে সুকৌশলে বাবুল হোসেনকে মদের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। গ্রেফতার লিটনও তাদের এমন তথ্য দিয়েছে। তবে ওই মনোনয়ন প্রত্যাশির নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশব্যাপী পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছায়ের শেষ দিন মদ্যপানে মারা যান বাঘার আড়ানী পৌর নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বাবুল হোসেন। ফলে সেখানে নতুন করে মোক্তার হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনিই নির্বাচিত হন।
এদিকে বাবুল হোসেন মারা যাওয়ার তিনমাস পর ময়না তদন্তে বাবুল হোসেন স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেননি, তাকে মদের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে এ রিপোর্ট আসে। এর ফলে গত ৯ মার্চ বুধবার তার ছেলে রিবন আহমেদ বাদী হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ওইদিন সন্ধ্যায় আড়ানীর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ লিটনকে গ্রেফতার করে। লিটন আড়ানী পৌরসভার হামিদকুড়া গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন