২৩ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর রাঙামাটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। পাশাপাশি আলোচনায় মুখর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। জাতীয় রাজনৈতিক ও স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে চলছে প্রার্থী বাচায়ের কাজ।
ইতিমধ্যে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ও স্থানীয় আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউপিডিএফের দলীয় প্রার্থী ব্যাপারে সিদ্ধান্তও চুড়ান্ত করছে বলে সংগঠনগুলো সূত্রে জানা গছে।
তবে নির্বাচনের প্রার্থী বিষয়ে সিদ্ধাহীনতায় পড়েছে ক্ষমতাশীল দল জেলা আওয়ামী লীগ। রাঙামাটি জেলার প্রায় ১৯টি ইউনিয়নে প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর জানান, রাঙামাটি জেলার ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদে মধ্যে ১৯টি পরিষদে দলীয় প্রার্থী নেই। যে সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এখনো দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা-রাঙামাটি সদর উপজেলা ইউনিয়নের-মগবান, বালুখালী বন্দুকভাঙ্গা, জীবতলী, সাপছড়ি, কুতুকছড়ি। জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং, দুমদুম্যা। নানিয়ারচর উপজেলা ৪নং ঘিলাইছড়ি, ১নং সাবেক্ষ্যং, নানিয়ারচর। বাঘাইছড়ি উপজেলার সারবাতলী, বাঘাইছড়ি, মারিশ্যা, বংগলতলী, সাজেক ও বরকল উপজেলার বড়হরিণা ইউনয়ন। এখনো কোনো দলীয় প্রার্থী দেওয়া যায়নি। এসব ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী দেওয়া একটু কঠিন হতে পারে। কারণ স্থানীয় নামধারী অঞ্চলিকদলগুলো অবৈধ অস্ত্রের ভয়ে কোন নেতাকর্মী প্রার্থী হতে চাচ্ছে না।
যারা নির্বাচনে অংশ নিবে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না।
অভিযোগ উঠেছে, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায়র পার্বত্য জেলা রাঙামাটির রাজনৈতিক চিত্র ভিন্ন। এ জেলায় জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা অনেক বেশি। যার প্রমাণ বিগত সময়ের জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচন। প্রতিটি আসন স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলোর দখলে। তাই ক্ষমতাশীন দল হলেও নিজেদের অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। তবুও আওয়ামী লীগ মরিয়া আসনটি ধরে রাখতে এবং বিএনপিও চায় পুনরুদ্ধার করতে। তবে পিছিয়ে নেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ। কিছুটা তৎপর জাতীয় পার্টিও। তবে নির্বাচনকে ঘিরে উদ্বেগ উৎকন্ঠা স্থানীয়দের মধ্যে। রয়েছে চাপা আতঙ্কও।
এব্যাপারে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার জানান, স্থানীয় সশস্ত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্রের ভয়ে পাহাড়ে মানুষ জিম্মি। তাদের হুমকির কারণে অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদে আমাদের দলের অনেকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অনীহা প্রকাশ করছে। এমনকি দলীয় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানরা পর্যন্ত ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। কারণ নির্বাচন আসলে স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলো অপতৎপরতা বৃদ্ধিপায়। বিশেষ করে পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তাদের জোর বেশি থাকে। তাই নির্বাচনের আগে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে কোনো রাজনৈতিকদল নির্বাচনে সুষ্টভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন