তুরস্কে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) তিনজন মেয়রকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন।
শনিবার ভোরে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযান’ বলে আখ্যা দিয়েছে সিএইচপি।
গত ২০২৪ সালের স্থানীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের একে পার্টিকে বড় পরাজয়ের মুখে ফেলে। এরপরই সিএইচপি তুরস্কজুড়ে জনসমর্থন বাড়িয়েছে। তারপর থেকেই বিরোধী নেতাদের ওপর সরকারি চাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
সাম্প্রতিক গ্রেফতারগুলো মার্চ মাসে ইস্তাম্বুলের প্রভাবশালী মেয়র ও ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিএইচপি প্রার্থী একরেম ইমামওগলুকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনার ধারাবাহিকতায় ঘটলো। তার গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিক্ষোভকে ২০১৩ সালের পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় রাজপথ আন্দোলন হিসেবে দেখা হয়।
শনিবার যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা হলেন—দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আদানা’র মেয়র জেইদান কারালার, উপকূলীয় শহর আন্তালিয়ার মেয়র মুহিত্তিন বোজেক এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আদিয়ামান শহরের মেয়র আবদুররহমান তুতদের।
কারালারকে যখন পুলিশি গাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল, তখন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। জবাবে তিনি বলেন, “যেখানে প্রভাবশালী সাংবাদিক বা রাজনীতিবিদ আছেন, ওদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়।”
আঙ্কারার বিরোধীদলীয় মেয়র মানসুর ইয়াভাশ বলেছেন, “যেখানে আইন রাজনীতির কারণে বাঁক নেয়, এক পক্ষের জন্য ন্যায়বিচার চলে আর অন্য পক্ষের জন্য থেমে যায়, সেখানে আইন বা ন্যায়বিচারের ওপর আস্থা রাখা যায় না। আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।”
এই সপ্তাহের শুরুর দিকেও দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরে দুর্নীতির অভিযোগে ১৩৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ