কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
শনিবার দুপুরে তাদের বাসা থেকে সিআইডি কুমিল্লা কার্যালয়ে আনা হয়। সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, বড় ভাই নাজমুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও চাচাতো বোন লাইজু জাহানকে।
এদিকে হত্যা মামলা তদন্তে ঢাকা ও কুমিল্লার সিআইডির একটি দল শনিবার কুমিল্লা সেনানিবাসের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সকাল ৯ টায় দলটি সেনানিবাসে যায়। দুপুর পর্যন্ত দলটি সেখানে অবস্থান করছিলো। শুক্রবারও দিনভর কুমিল্লা সিআইডির একটি দল সেনানিবাসের ৩টি স্থান পরিদর্শন করেন।
সিআইডি কুমিল্লার সূত্র জানায়, সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দের নেতৃত্বে দলটি সেনানিবাস এলাকার তনু মরদেহ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। দলের অন্যান্যদের মাঝে ছিলেন ঢাকা থেকে আগত সিআইডির দুজন সিনিয়র এসপি, কুমিল্লা সিআইডির সিনিয়র এসপি ড. নাজমুল করিম খান, কুমিল্লার সিনিয়র এএসপি জালাল উদ্দিন আহমেদ, এএসপি মোজাম্মেল হক, ইন্সপেক্টর শাহনেওয়াজ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী ইব্রাহীমসহ সিআইডির আরো কয়েকজন সদস্য।
সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ বিকালে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের জানান, তথ্যের প্রয়োজনে তনুর স্বজনদের সাথে কথা বলেছি। প্রয়োজনে আরো কথা বলবো। আমরা কাজ করছি। এখনও মন্তব্য করার সময় আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার অদূরে একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন