রাজশাহীর দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় স্থানীয় এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। শনিবার বিকেলে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে প্রধান অতিথি হিসেবে এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা যান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন। ওই সভা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কথা ছিল।
বর্ধিত সভা চলাকালীন সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ গ্রুপের লোকজন বর্ধিত সভার মঞ্চে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় মঞ্চের উপরে থেকে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকছেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেলসহ তার সমর্থকরা বাধা দেন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মকছেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেলের লোকজন আবদুল মজিদের উপরে হামলা চালালে মজিদ মাটিতে পড়ে যান। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আবদুল মজিদের লোকজন এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে।
হামলায় দাউকান্দি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকছেদ, সেক্রেটারি জালাল মাস্টারসহ ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হরিমারপুর স্কুলে আবদুল মজিদ এবং দাউকান্দিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকছেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল গ্রুপের লোকজন অবস্থান নেয়।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিমল চক্রবর্তী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি ওসির।
তবে এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা জানান, মনোনয়ন নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা থেকে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন