দিনাজপুরের হাকিমপুরে অপহরণের একদিন পর আত্বাহী আল রশিদ মনি নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশি সামিউলের বাড়ির টিনশেড ঘরের মেঝে থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে । এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা অপহরণকারীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শিশু অপহরণের দায়ে প্রতিবেশী সামিউল ও তার বাবা আমজাদ আলীকে আটক করেছে পুলিশ । বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
মৃত শিশু আত্বাহী আল রশিদ জেলার হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যক্ষ ও মুহাড়াপাড়া এলাকার মামুনুর রশিদ আজাদের ছেলে।
আত্বাহীর পিতা মামুনুর রশিদ আজাদ সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকালে শিশু রশিদ বাড়ির পার্শ্বে খেলা করার সময় অপহরণকারীরা শিশুটিকে নিয়ে যায়। পরে তারা মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সন্তানকে ফিরে পেতে দাবিকৃত অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কিন্তু পরে অপহরণকারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল কবির জানান, মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করে পুলিশ প্রতিবেশী আমজাদ আলীর ছেলে সামিউল ইসলামকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফুলবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফয়জুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় পিতা ও পুত্রকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহ আগে একই স্থান থেকে অপহরণের সময় এলাকাবাসী ৩ শিশুকে উদ্ধার করে। এসময় ২ অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয়রা।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ এপ্রিল ২০১৬/ হিমেল-০২/ রশিদা