চুয়াডাঙ্গার দর্শনার উদ্ভিদ সংগনিরোধ (শস্য জীবানুমুক্তকরণ) কেন্দ্রের ভবন নির্মাণকাজের এক ফোরম্যান ও তিন মিস্ত্রীর নামে মামলা দায়ের করেছে নির্মাণকাজের লেবার সর্দার আব্দুল শুকুর।
বুধবার চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভবন ঢালাইয়ের একাংশে রডের বদলে বাঁশের কাবারি দেয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন, নওগা জেলার বানীনগরের দুধিয়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে ফোরম্যান মো. নাজিমুল, নির্মাণকাজের তিন মিস্ত্রি বগুড়া জেলার সান্তাহারের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আলেক, কক্সবাজার জেলার রামুর জোয়ারিয়া গ্রামের ইসাহাক মিয়ার ছেলে লোকমান হোসেন ও একই গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম।
মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামীরা দর্শনার উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের নির্মাণকাজের জন্য লেবার সর্দার আব্দুল শুকুরের কাছ থেকে আগাম দুই লাখ টাকা নেন। এরপরও নানা অজুহাতে আসামীরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে লেবার সর্দার তাদের কাছে অগ্রিম টাকা ফেরত চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীরা গোপনে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের একাংশে রডের বদলে বাঁশের কাবারি দিয়ে ঢালাই করে এলাকাবাসীকে জানায় এবং নিজেরা আত্মগোপন করে।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা খরচে গত বছর ডিসেম্বরে ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। আগামী জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তরের কথা আছে। এরই মধ্যে এলাকাবাসীর মধ্যে ভবনের ঢাকাইকাজে বাঁশের ব্যবহারের বিষয়টি জানাজানি হলে তা সারাদেশে আলোচিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন