ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক সেনা সদস্যকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে মহেশপুরের ইউএনও আশাফুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের ডিডিএলজি আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রেজাউর রহমান আজমপুর গ্রামে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহন করেন।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলার আজমপুর গ্রামে লোকমান হোসেনের মেয়ে হালিমা খাতুনের বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে মহেশপুর ইউএনও আশাফুর রহমান বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় উপস্থিত লোকজনের ভিতর থেকে গৌরীনাথপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে হোসেন আলী ইউএনও-কে সালাম দিয়ে সেনা সদস্য পরিচয় দিয়ে হ্যান্ডশেখ করতে গেলে ইউএনও ওই সদস্যের দুই গালে গালে চড় মেরে তার পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হতবাক হয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আজমপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মুজিবর রহমান জানান, অন্যায়ভাবে ছেলেটিকে মারা হয়েছিল। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার পরিচয়পত্র ফেরত দেওয়া হয়। বিষয়টি হোসেন আলীর পক্ষ থেকে কুমিল্লার সেনানিবাসে তার ইউনিটে অভিযোগ দিলে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা সরেজমিনে তদন্ত করে। জানা গেছে, এ বিষয়ে সরকারের উপর মহলে রিপোর্ট দেওয়া হলে জেলা প্রশাসকের পক্ষে ডিডিএলজি(উপ-পরিচলক, স্থানীয় সরকার বিভাগ) মঙ্গলবার আজমপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে মহেশপুর ইউএনও আশাফুর রহমান সেনা সদস্যের গালে চড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া মাত্রই সেনা সদস্য উত্তেজিত হয়ে আমার হাত চেপে ধরে। এ সময় আমি তার পরিচয়পত্র দেখার জন্য চার্জ করি। পরে নিশ্চিত হয়ে তার পরিচয়পত্র ফিরিয়ে দিই। কিন্তু আমি বাল্য বিয়ে বন্ধ করায় সেনা সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ