লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বৈধতা নিয়ে দ্বন্দ্বে দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আমতলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর শহরে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকরা স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে ‘অবৈধ” আখ্যা দিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রানা। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার আমতলা বাজার এলাকায় এলে দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংর্ষের সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অপর পক্ষের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। ওই সংঘর্ষে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয় হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম শাহরিয়ার জিহান বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আমরা কয়েকজন নেতাকর্মী মিলে উপজেলার আমতলা বাজারে যাই। এসময় অর্তকিতভাবে ইউনিয়ন থেকে কিছু ছাত্রলীগের নেতকর্মী তাদের উপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে, গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রানা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলন শেষে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। কিন্তু উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের মিছিলে হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান বলেন বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংষর্ষের ঘটনায় কথা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব