সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সেলিনা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গায়ের রং কালো হওয়ার পাশাপাশি যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও তার স্বজনরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে গৃহবধুর মা ও মামা দাবি করেছেন।
আহত গৃহবধূ বর্তমানে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে থানার ধুবিল ইউনিয়নের ইছিদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে গৃহবধূর শরীরের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ সেলিনা ইছুদহ গ্রামের সোহাগের স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী আমসাড়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
গৃহবধূর মামা আলহাজ আলী জানান, একবছর আগে সোহাগের সাথে ভাগ্নি সেলিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৮০ হাজার টাকা, সোয়া ভরি স্বর্ণ ও পাঁচ ভরি রুপা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে কালো বলে স্বামী সোহাগ অত্যাচার শুরু করে এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসাও খুলে দেওয়া হয়েছিল। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। ভাগ্নি সেলিনা অপরাগতা প্রকাশ করলে সোহাগ ও তার স্বজনরা মিলে সেলিনাকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডা. নাজমুল হুদা জানান, সেলিনার শরীরের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো জরুরি।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ