সুন্দরবনে হরিণ শিকারের দায়ে ৬ শিকারিকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. অতুল মন্ডল ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালি গ্রামের মো. নকিম উদ্দিন সরদারের ছেলে মো. জাফর সরদার (২৩), একই এলাকার সোহরাব মোল্লার ছেলে মো. আসিকুর মোল্লা (২৩) ও হাফিজুর মোল্লা (৩০), ইউনুস শেখের ছেলে রিপন শেখে (২৮), মোস্তাক শেখের ছেলে শুকুর আলী শেখ (২৫) এবং হালিম শেখের ছেলে শামিম শেখ (২২)।
রোববার সকালে দণ্ডপ্রাপ্ত এসব হরিণ শিকারিদের বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের কোকিলমুনি টহল ফাঁড়ির ‘তিন কোনা দ্বীপ’ এলাকা থেকে দুটি নৌকাসহ তাদের আটক করে বন বিভাগ।
সুন্দরবনের কোকিলমুনি টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন জানান, এক সপ্তাহ আগে সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন থেকে কাঁকড়া আহরণের পাস নিয়ে দুটি নৌকাসহ ১১ জন জেলে পরিচয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। শুক্রবার রাতে কোকিলমুনি এলাকায় নিয়মিত টহলের সময় বনকর্মীরা ওই নৌকা দু’টিতে তল্লাশি চালায়। এ সময় ৫ জেলে সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে নৌকা দুটিতে সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণের দুই কেজি মাংস এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. অতুল মন্ডলের ভ্রাম্যমান আদলতে হাজরি করলে এসব শিকারিদের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে হরিণ শিকারের দায়ে এটিই প্রথম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার ঘটনা।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-১০