লালমনিরহাটে খরায় পুড়ে মরে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমির বাদাম গাছ। তরতাজা গাছগুলো মরে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন অনেক কৃষক। তাই একটু বৃষ্টির জন্য সোমবার সকালে জেলার বিভিন্ন জায়গায় নামাজ আদায়সহ প্রার্থনা করা হয়েছে।
অনাবৃষ্টির কারণে জেলা জুড়ে আবাদকৃত বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। খরায় খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ সংকটে পড়েছে কৃষক। এতে বোরো ধানের আবাদ চরম বিপর্যয়ে পড়েছে। ধানি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে শত শত একর ফসলি জমি। জেলায় সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে বাদাম চাষিরা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানির জন্য হাহাকার করছে মানুষ।
শিয়াল খোওয়া গ্রামের কৃষক আতাহার, বাবলু, অনিল, ও আকবার জানান, তারা ১২ বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করেছেন। তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে জমিতে পানি দিতে হয়, ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায একদিকে যেমন দুবস্থায় পড়েছেন অন্যদিকে সকালে বাদামের জমিতে পানি দিতে না দিতেই বিকেলে জমি আবার জলন্ত বালুতে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের অর্ধেক জমির বাদাম ঘরে আসবে না বলে তারা জানান।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় এবার ১৩হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। তবে খরার কারণে ৩ হাজার হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
বিদ্যুতের দাবিতে সোমবার কয়েক’শ কৃষক কালিগঞ্জ পিডিবি অফিস ঘেরাও করে। কৃষকরা জানান, বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং আর অনিশ্চিত বিদ্যুৎ সরবারহের কারণে চলতি বোরো আবাদ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। পানির অভাবে জেলার শত হেক্টর ধানের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
এদিকে শত শত কৃষক ফসল রক্ষার জন্য সোমবার সকালে জেলার ১৩টি পয়েন্টে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন