কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের দুই রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প অরক্ষিত হয়ে পড়ায় বহিরাগত রোহিঙ্গারা অবাধে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে যাতায়াত করছে। বায়োমেটিক করা সিম ব্যবহার করছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় সিম এজেন্টদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তারা সিম রেজিস্ট্রেশন করে নিচ্ছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের হাতে ছড়িয়ে পড়া বায়োমেট্রিক সিম ব্যবহৃত হচ্ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। এসব সিম দিয়ে তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে। কুতুপালং ও নয়াপাড়া ক্যাম্পে প্রায় ৭ শতাধিক ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা যুবকেরা অতিরঞ্জিত করে অবাধে তথ্য পাচার করছে বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ, আনসার বাহিনী থাকলেও তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের সখ্যতা গড়ে ওঠায় ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে ক্যাম্পের ভিতরে-বাইরে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ওইসব অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ